দায়িত্ব নিন একজন পথশিশুর
বেসরকারি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী আমাদের দেশে ৩ লাখের ও বেশী পথশিশুএবং ৭ লাখের ও বেশী সুবিধাবঞ্চিত শিশু রয়েছে। যাদের বেশীর ভাগ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে  বঞ্চিত। খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা,বাসস্থান, ও চিকিৎসা এই পাঁচটি মৌলিক অধিকার এর কোনোটি সঠিকভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব না হলে কখনোই এই  পথশিশু/সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবনমানের কোনো পরিবর্তন আসবে না। প্রতিটি শিশুর জীবনে তার চারপাশের পরিবেশের প্রভাব ভীষণ ভাবে ফুটে উঠে। যত দিন পথে বেড়ে উঠা এই শিশুদের জীবনে কোনো পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে না , তত দিন তাদের এই পরিবেশের পরিবর্তন আনা অসম্ভব। সেই চেষ্টা থেকে জুম বাংলাদেশ এই শিশুদের জন্য একাডেমিক স্কুল তৈরি করেছে, যেখানে এই শিশুরা ভালো পরিবেশের সাথে মিশে তাদের উন্নত জীবন গড়ার জন্য বেড়ে উঠবে।

মাসিক মাত্র ১২০০ টাকায় আপনিও একজন শিশুর দায়িত্ব নিতে পারেন।
কেন আপনি একজন শিশুর দায়িত্ব নিবেন?
মানুষ হিসেবে আমাদের সকলেরই এই সমাজের কাছে কিছু দায়বদ্ধতা আছে। পথশিশু/সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা আমাদের সমাজের একটি অংশ। এই শিশুদের জন্য আমরা যদি ভালো কিছু করতে না পারি, তাহলে এই শিশুরা একদিন আমাদের সমাজের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এরা কেউ ছিনতাইকারী, পকেটমারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পরবে। তাই আমাদের প্রত্যেকের জায়গা থেকে এই শিশুদের দায়িত্ব গ্রহন করি তাহলে এই সমাজের চেহারা বদলে যাবে এবং সকল শিশুর জন্য আমাদের এই দেশ নিরাপদ ও সুন্দর হবে।

এই ১২০০ টাকায় একজন শিশুর যা পাবেঃ
* মান সম্পন্ন শিক্ষাদানঃ শিক্ষার মান উন্নত করতে একাডেমিক স্কুলগুলোতে অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা এই শিশুদের পাঠদান করানো হবে।
* প্রয়োজনীয় শিক্ষা সামগ্রীঃ প্রতিদিন পাঠদানের প্রয়োজনীয় শিক্ষাসামগ্রী (বই, খাতা, কলম) ইত্যাদি বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।
* এক বেলার পুষ্টিকর খাবারঃ প্রতিদিন পাঠদান শেষে বিনামূল্যে শিশুদের এক বেলার খাবার (খিচুড়ী, ভাত , মাছ/মাংস, ডাল, ডিম, সবজি ও ফলমূল)  প্রদান করা হবে।
* শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাঃ সকল শিশুদের জন্য প্রতিমাসে একবার বিনামূল্যে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে ।
* সাংস্কৃতিক চর্চাঃ শিশুদের পঁুথিগত শিক্ষার বাইরে মননশীল বিকাশে অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা (নাচ , গান , কবিতা আবৃত্তি) চর্চা করানো হবে।

আপনার দায়িত্ব গ্রহন ও শিশুর জীবনে এর প্রভাবঃ
একজন শিশুর দায়িত্ব নেওয়ার ফলে তার মৌলিক চাহিদাগুলোর অনেকটাই পূরন করা সম্ভব হবে। বিশেষ করে খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও চিকিৎসার সুবিধা নিশ্চিত হবে এবং একজন শিশু পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। তাই পথশিশুদের সাদাকালো জীবনটাকে একটু রঙিন করতে আপনিও এগিয়ে আসুন এবং একজন পথশিশুর জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখুন। আপনার হাতেই রচিত হোক একজন শিশুর সুন্দর ভবিষ্যৎ।
শর্তাবলীঃ
* দায়িত্ব গ্রহনের পর আপনি নির্দিষ্ট শিশুর শিক্ষা ক্ষেত্রের অভিভাবক হিসেবে গন্য হবেন।
* নূন্যতম এক বছরের জন্য একজন শিশুর দায়িত্ব নিতে হবে।  
* প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে স্পন্সরশীপের টাকা নির্দিষ্ট মাধ্যমে জমা দিতে হবে। আপনি চাইলে ১ বছরের টাকা একসাথেও পরিশোধ করতে পারবেন ।
* দুইমাসের অধিক স্পন্সরশীপের টাকা বকেয়া রাখা যাবে না।
* অভিভাবক ২ মাস পর পর দায়িত্ব নেওয়া শিশুর স্বশরীরে দেখা করে খোজ খবর নিতে পারবেন।
*যদি কোনো কারনে আপনার দায়িত্বরত শিশু স্কুল থেকে অন্যত্র চলে যায় সেক্ষেত্রে আপনার প্রদানকৃত টাকা অন্য একজন শিশুর শিক্ষা খাতে ব্যয় হবে । 
Sign in to Google to save your progress. Learn more
আপনার নাম
আপনার জন্ম তারিখ
MM
/
DD
/
YYYY
আপনার ইমেইল
আপনার মোবাইল নাম্বার
আপনার ফেসবুক আইডি লিংক/ হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার
আপনার পেশা
আপনার বর্তমান ঠিকানা
আপনি কতজন শিশুর দায়িত্ব নিতে আগ্রহী
শিক্ষা খরচ আপনি কিভাবে দিতে আগ্রহী
আপনি কোন মাধ্যমে ডোনেশন পাঠাতে চান?
Clear selection
Submit
Clear form
Never submit passwords through Google Forms.
This content is neither created nor endorsed by Google. Report Abuse - Terms of Service - Privacy Policy